ঐশ্বর্য রাই-এর সহ-নায়ক থেকে পেট্রলপাম্পের কর্মী: অভিনেতা আব্বাসের জীবন সংগ্রাম

তামিল সিনেমার কিংবদন্তি থেকে নিউজিল্যান্ডে নতুন জীবন শুরু

ঐশ্বর্য রাই-এর সহ-নায়ক থেকে পেট্রলপাম্পের কর্মী: অভিনেতা আব্বাসের জীবন সংগ্রাম

নব্বইয়ের দশকে দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা আব্বাসের জীবন যেন এক চলচ্চিত্রের গল্পের মতোই উত্থান-পতনের সাক্ষী। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সহ-নায়ক থেকে শুরু করে পেট্রলপাম্পের কর্মী হওয়া পর্যন্ত তাঁর জীবন সংগ্রাম অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।

স্টারডমের দিনগুলি

তেলুগু ভাষার 'প্রিয়া' এবং তামিল ছবি 'কান্নেঝুথি পোট্টুম থোট্টু', 'পাদায়াপ্পা', 'সুয়াম্বরম' - এই ছবিগুলির মাধ্যমে আব্বাস দক্ষিণী সিনেমায় নিজের জায়গা করে নেন। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে তাঁর জুটি তামিল সিনেমার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হয়ে আছে।

কেরিয়ারে ভাটা

২০০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে আব্বাসের কেরিয়ারে শুরু হয় পতনের পর্ব। বলিউডে সুযোগ পেলেও দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হন তিনি। মূল চরিত্র থেকে সহ-অভিনেতা এবং পরবর্তীতে ক্যামিও রোলে নেমে আসতে বাধ্য হন। ২০০৬ সালের পর একের পর এক ছবির ব্যর্থতা তাঁর কেরিয়ারকে আরও বিপর্যস্ত করে তোলে।

নতুন জীবনের সন্ধানে

২০১১ সালে আব্বাস এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিউজিল্যান্ড পাড়ি জমান। সেখানে তিনি জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। একটি পেট্রলপাম্পে কাজ নেওয়া থেকে শুরু করে মেকানিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। আর্থিক সংকট সত্ত্বেও তিনি মনোবল হারাননি।

বর্তমান অবস্থান

২০১৫ সাল থেকে আব্বাস নিউজিল্যান্ডে মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে নতুন করে জীবন শুরু করেছেন। তাঁর জীবন সংগ্রামের গল্প এখন অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। স্টারডম হারানোর পরও নতুন করে জীবন গড়ার এই প্রচেষ্টা প্রমাণ করে যে জীবনে পতন আসলেও নতুন করে ওঠা সম্ভব।

We use cookies and similar technologies to provide the best experience on our website. By continuing to use this site, you consent to our use of cookies. Learn more